বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজ
একটি শিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে নারী-শিক্ষার বিকল্প নেই। যে পরিবারের মাতা শিক্ষিত সে পরিবারের কোন সন্তান অশিক্ষিত থাকতে পারেনা। একজন সুশিক্ষিত নারী হতে পারে সমাজে একটি আলোক বর্তিকা, যার দ্বারা প্রজ্জ্বলিত হতে পারে আরো শত সহস্র জন। এ বিশ্বাসকে সামনে রেখে খুলনা সিটি কর্পোরেশন খুলনা মহানগরীতে মেয়েদের জন্য একটি উন্নতমানের আধুনিক আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য ১৯৯২ সাল হতে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেন। ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠিত হয় “খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল”। নব প্রতিষ্ঠিত খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলার জন্য অর্থ সংস্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ইত্যাদি কাজে কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় মেয়র, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবকবৃন্দ ও কর্পোরেশনের কর্মককর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজটি পূর্ণাঙ্গতার পথে অগ্রসর হচ্ছে।
২। প্রতিষ্ঠানের ধরণ ও পরিচিতিঃ
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল খুলনা সিটি কর্পোরেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। যা নগরীর ব্যস্ততম খানজাহান আলী রোডের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ (পূর্ণ নাম লিয়াকত পার্ক) ২.৫৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত। খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজ বর্তমানে প্লে শ্রেণী হতে স্নাতক সম্মান শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুযোগ আছে। ৩য় শ্রেণী হতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৬০টি আসন বিশিষ্ট ৩/৪টি করে সেকশন আছে। ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে বিঞ্জান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনিতে বিঞ্জান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা আছে। তবে এক্ষেত্রেও প্রতি বিভাগে আসনের সংখ্যা ৬০টি।
২০০২ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ ও দ্বাদশ) পর্যায়ে সকল শাখায় পাঠদান শুরু হয় এবং ২০০৩ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গার্হস্থ্য অর্থনীতির ২টি বিষয় ফুড এন্ড নিউট্রিশন ও চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট এন্ড ফ্যামিলি রিলেশন এবং ২০০৪ সালে ফ্যাশন ডিজাইন ডিপার্টমেন্টে অনার্স কোর্স চালু করা হয়।
২০০৭ সাল থেকে অনার্স শ্রেণির বিষয় সমূহ কেসিসি উইমেন্স কলেজ (KHULNA CITY CORPORATION WOMENS COLLEGE) নামে পরিচালিত হচ্ছে।প্রতিষ্ঠানটিতে “শেখ তৈয়েবুর রহমান ছাত্রীনিবাস” নামে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সহ ১২০ জন ছাত্রীর থাকার আবাসন ব্যবস্থা আছে।
৩। প্রতিষ্ঠানেরলক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
ক) সর্বশক্তিমান আর্লাহর উপরে পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে ছাত্রীদের সৎ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও চরিত্রবান রূপে গড়ে তোলে।
খ) আধুনিক বিঞ্জান সম্মত পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে ছাত্রীদেরকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগ্য করে গড়ে তোলা।
গ) ভবিষ্যতে সুগৃহিনী, সুমাতা, ও সুনাগরিক হয়ে যাতে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করতে পারে সেভাবে গড়ে তোলা।
ঘ) স্বাবলম্বিতা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সমাজ সেবার প্রেরণা জাগিয়ে তোলা।
ঙ) পারস্পরিক সহনশীলতা ও ত্যগের বিনিময়ে স্বুস্থ সামাজিকতার ভাব জাগ্রত করা এবং ব্যক্তিস্বার্থের পরিবর্তে সমষ্টিগত স্বার্থকে প্রাধান্য
দেয়ার মনোভাব সৃষ্টি করা।
চ) সুস্বাস্থের অধিকারী হওয়া, মানসিকভাবে সচেতন ও আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত হওয়া।
ছ) শৃঙ্খলা বোধ জাগ্রত করা, সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করা ও সর্বোপরি চারিত্রিক গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধন করা।